your doctor

Mail: yourdoctor.hello@gmail.com

YOUR DOCTOR

Friday 28 January 2011

মাছের তেল মাসিকের ব্যথা কমায়

মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন সময় তলপেট ব্যথা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই ব্যথাটা তুলনামূলক বেশি হয়। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় মেনস্ট্রুয়াল পেইন বা মাসিকজনিত ব্যথা।
সম্প্রতি ডেনমার্কের বিজ্ঞানী গবেষকগণ এক পরীক্ষা শেষে জানালেন মাছের তেল মাসিকজনিত এই ব্যথার উপশম করায় ।
মাছের তেলে যে মেগো-থ্রি ফ্যাটি এসিড আছে তা আইবুপ্রফেনের সমতুল্য। যা টিস্যু ইনফ্লামশন কমিয়ে পেটের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে । তারা বলছেন মহিলারা মাসিকের আগে বেশি করে মাছ খেলে তাদের পেটের এই মাসিকজনিত ব্যথা অনেক কমে যাবে, অন্তত পেইনকিলার খেয়ে ব্যথা সামাল দিতে হবে না।

Sunday 23 January 2011

সুস্থ-সুন্দর হাসি

সুস্থ-সুন্দর হাসির জন্য চাই...। না, কোন টুথপেস্ট বা টুথপাউডারের বিজ্ঞাপন না, বলা হচ্ছে ফলিক এসিডের কথা। হ্যাঁ, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এর এই সদস্য আপনার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ ও সুন্দর রাখতে দারুণ কার্যকর।

ফলিক এসিড মাড়ির প্রদাহ, রক্তপাত, দাঁতের গোড়ায় প্লাক জমা প্রতিহত করে। মানবদেহের মধ্য মুখের কোষগুলোই সবচয়ে দ্রুত বিভাজনে সক্ষম এবং এর জন্য দরকার ফলিক এসিডের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলিক এসিডকে মাউথ ওয়াশ হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। সেটা কিভাবে? ২০০ মি.লি কুসুম গরম পানিতে ফলিক এসিডের একটা ক্যাপসুল খুলে ভেতরের ওষুধগুলো ঢেলে গুলে নিন। ব্যস, হয়ে গেল মাউথওয়াশ।

Friday 14 January 2011

কিডনী বিকল ও ডায়ালাইসিস

আমাদের শরীরে দুটো কিডনি আছে যার সাধারন কাজ হচ্ছে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবন, পানি এবং এসিড বের করে দেয়া এবং এর মাধ্যমে শরীরের অতি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট (যেমন সোডিয়াম, ক্লোরাইড) এর পরিমান রক্তে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখা।
এ ছাড়াও পরিপাকের পর শরীরের জন্য অপ্রয়োজনীয় পদার্থ যেমন ইউরিয়া, ক্রিয়াটিনিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে রক্তে এর পরিমান সাধারন মাত্রায় রাখা ও কিডনির একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ন কাজ। এছাড়াও ইরাইথ্রোপোয়েটিন নামক বিশেষ একটি হরমোন যা রক্তের হিমোগ্লবিন তৈরীতে বিশেষ প্রয়োজনীয় তা কিডনি থেকে উৎপাদিত হয়। ভিটামিন ডি শরীরে যে অবস্থায় ক্রিয়া করে তা রূপান্তরেও কিডনির বিশেষ ভুমিকা আছে।

সাধারন অবস্থায় একটি সুস্থ কিডনির পক্ষে উপরোক্ত সব কাজই করা সম্ভব। কিন্তু কোন কারনে যদি দুটো কিডনিই বিকল হয়ে পড়ে তবে উপরোক্ত কাজগুলো করা শরীরের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা প্রদান সম্ভব না হলে রোগী মৃত্যুবরণ করে। কিডনী বিকল মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, আকস্মিক কিডনী বিকল বা একিউট রেনাল ফেইলিউর এবং ধীর গতির কিডনী বিকল বা ক্রনিক রেনাল ফেইলিউর ।
আকস্মিক কিডনি বিকল বা একিউট রেনাল ফেইলিউর:
হঠাৎ কিডনি বিকল হওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে যেমন, ডায়রিয়ার কারনে অতিরিক্ত পানিশূন্যতা ঠিক সময়ে পুরণ না করা, বিশেষ কোন ঔষধ সেবন যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর, কোন কারনে কিছু সময়ের জন্য কিডনিতে রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি ইত্যাদি। এ সমস্ত কারনে কিডনি বিকল হলে তাকে আমরা আকস্মিক কিডনি বিকল বা একিউট রেনাল ফেইলিউর বলি। সঠিক সময়ে কয়েক সেশন ডায়ালইসিস দিলে কিডনি কয়েকদিন পর তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পায়।

ধীর গতির কিডনী বিকল বা ক্রনিক রেনাল ফেইলিউর:
ধীর গতির কিডনি বিকল হওয়ার অনেক কারনের মধ্যে প্রধানতম কারনগুলি হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা কিডনি প্রদাহ, দীর্ঘ দিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ। এসব কারণে যখন দুটো কিডনি বিকল হয়ে যায় তখন রক্তশূন্যতা এবং ভিটামিন ডি এর অভাব পুরন ছাড়া উপরে উল্লেখিত কিডনির অন্যান্য স্বাভাবিক কাজগুলো, বিশেষ করে শরীরের অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ নির্গমন এবং ইলেকট্রোলাইটের পরিমান স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার জন্য ডায়ালাইসিস নামের বিশেষ একটি পদ্ধতির শরনাপন্ন হতে হয়।

ডায়ালাইসিস মূলত দুই রকমের হেমোডায়ালাইসিস এবং পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস।
হেমোডায়ালাইসিস:
হেমোডায়ালাইসিস এমন একটি পদ্ধতি যেখানে বিশেষ মেশিনের সাহায্যে শরীরের অপরিশোধিত রক্ত শরীর থেকে বের করে এনে ডায়ালাইজার এর মধ্যে চালনা করা হয়। ডায়ালাইজার এমন একটি ছোট্ট যন্ত্রের মতো যা কৃত্রিম কিডনি রুপে কাজ করে এবং ছাকনির মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো দুরীভূত করে বিশুদ্ধ রক্ত শরীরে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়।
হেমোডায়ালাইসিস এর পুরো প্রক্রিয়া একসেশনে সাধারনত তিন থেকে চার ঘন্টা চালানো হয়। যে সমস্ত কারণে দুটো কিডনি বিকল হয়ে সারা জীবন ডায়ালাইসিস এর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন চারঘন্টা করে ডায়ালাইসিস এর পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে।
হেমোডায়ালাইসিস দেওয়ার পূর্বে রোগীর শরীরে একটি ছোট্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের ধমনী এবং শিরার মধ্যে একটি সংযোগ করে দেয়া হয়, যাকে ফিস্টুলা বলে। পরে ঐ ফিস্টুলার মধ্যে নিডল প্রবেশ করিয়ে হেমোডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে সংযোগ প্রদান করা হয়। তবে অস্ত্রোপাচারের তিন থেকে চার সপ্তাহের আগে এই ফিস্টুলা দিয়ে হিমোডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয় না। যদি রোগীর শিরা খুব সরু থাকে এবং সে কারনে ফিস্টুলা তৈরী করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে ইদানিং কৃত্রিম একটি গ্রাফটের মাধ্যমে ধমনি এবং শিরার মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে দেয়া হয়। ফিস্টুলার চাইতে গ্রাফটের সুবিধা হলো অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। ফিস্টুলা দিয়ে রোগীকে সারাজীবন হেমোডায়ালাইসিস করা সম্ভব যদি ফিস্টুলা কর্মক্ষম থাকে।
রোগীকে হঠাৎ করে হেমোডায়ালাইসিস দেয়ার প্রয়োজন হয়, তখন ফিস্টুলা তৈরী করে নেয়ার অবকাশ থাকে না। সে ক্ষেত্রে ফিমোরাল এবং জুগুলার নামে শরীরের যে দুইটি শিরা আছে তার যে কোন একটি শিরায় বিশেষ এক ধরনের নল বা ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে হেমোডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব। তবে এ ধরনের ক্যাথেটার দিয়ে এক থেকে তিনসপ্তাহের বেশি হেমোডায়ালাইসিস করানো সম্ভব হয়না। এবং সে ক্ষেত্রে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস:
হেমোডায়ালাইসস ছাড়া পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস নামক আরেকটি বিশেষ পদ্ধতিতে কৃত্রিম ভাবে কিডনির কাজ করানো সম্ভব। যার মধ্যে উন্নতবিশ্বে যে পদ্ধতিটি এখন অনুসরন করা হচ্ছে তার নাম কন্টিনিউয়াস এম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস (সিএপিডি)। এ পদ্ধতিতে একটি ছোট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেটের মধ্যে একটি ছোট ছিদ্রের সাহায্যে একটি ক্যথেটার প্রবেশ করানো হয় এবং বাইরে একটি ব্যাগের সাহায্যে ডায়ালাইসিস ফ্লুইড পেরিটোনিয়াল ফ্লুইড নামক পেটের পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে চার থেকে ছয় ঘন্টা রেখে দেয়া হয়। পেরিটোনিয়াল মেমব্রেন নামক একটি ছাকনির সাহায্যে উপরোক্ত ডায়ালাইসিস ফ্লুইড এবং পেরিটোনিয়ার ফ্লুইড এর মধ্যে আদান প্রদানের মাধ্যমে শরীরের রক্ত পরিশোধিত হয় এবং চার থেকে ছয় ঘন্টা পর ডায়ালাইসিস ফ্লুইড বের করে আনা হয় এবং নতুন করে আরেক ব্যাগ ফ্লুইড প্রবেশ করানো হয়। এ পদ্ধতিরএককটি বিশেষ সুবিধা হলো এখানে এ পদ্ধতিতে রোগীর স্বাভাবিক চলাফেরায় কোন সমস্যা হয় না। তবে এ পদ্ধতিতে যে ডায়ালাইসিস ফ্লুইড ব্যবহার করা হয় তা আমাদের দেশে উৎপাদিত না হওয়ায় এ পদ্ধতি বেশ ব্যায় বহুল।
আমাদের মতো গরীব দেশে অন্য এক ধরনের পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস দেয়া হয় যে পদ্ধতিতে পেটের মধ্যে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে টানা চব্বিশ থেকে বাহাত্তর ঘন্টা পর্যায় ক্রমে ডায়ালাইসিস ফ্লুইড প্রবেশ করিয়ে আধঘন্টা থেকে একঘন্টা রেখে পুনরায় বের করে আবার নতুন ডায়ালাইসিস ফ্লুইড দেয়া হয় । টানা বাহাত্তর ঘন্টা পর ক্যাথেটার খুলে এ কার্যক্রম বন্ধ হয় । এ পদ্ধতিতে সাময়িক ভাবে রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই পদ্ধতি কার্যকর নয়।

কিডনি বিকল হলে কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্ম হেমোডায়ালাইসিস অথবা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে পরিচালিত করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্ব্বাবধানে এ চিকিৎসা নিয়মিত ভাবে নিলে রোগীর স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব হয়। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের মতো গরীব দেশে বিশেষ করে যারা নিম্ন বা মধ্য আয়ের লোক তাদের পক্ষে এ চিকিৎসার সুযোগ নেয়ার ক্ষমতা থাকে না অথবা শুরু করলে ও বেশীদিন চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে হেমোডায়ালাইসিসের সুযোগ বৃদ্ধি করা, সরকারী অনুদান বাড়ানো এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ধরনের সেবা মূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করে তাদেরকেও এ সেবায় সম্পৃক্ত করতে পারলে হয়তো এদেশের হাজার হাজার কিডনি বিকল রোগীর জীবনে আশার আলো জাগানো সম্ভব হবে।
(মূল লেখকঃ ডাঃ রানা মোকাররম হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, কিডনী রোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। your doctor কর্তৃক অনুলিখিত ও সম্পাদিত)

Thursday 13 January 2011

sex during pregnancy

Sex is the not only a bodily need, it is also a way to connect with your partner emotionally. It is a way to show love and support.

One should always view a situation in a positive way. Consider pregnancy as a great time to explore different aspects of love. Many women are more sexually aroused during pregnancy or it can be a desire greater than sexual satisfaction.



Having sex during pregnancy is entirely depends on your medical condition. It also depends on condition of the other person involved.

However, it is always a good idea to consult your doctor or health care provider before having sex during pregnancy. Unless your doctor advises otherwise, it is safe to have sex during pregnancy.

Most women do not feel like having sex during the first trimester of pregnancy. When a woman becomes pregnant, many hormonal changes take place in a woman’s body. Due to this, one may feel tired through the day. A woman may suffer from nausea, morning sickness, vomiting tendency, frequent urination etc. These changes may reduce your sexual activity.

In the second trimester of pregnancy, a woman is already accustomed with her new situation as she has already gone through these changes. Women feel better physically, emotionally and sexually. In this trimester, there is an increased blood flow in the entire pelvic area. Due to this, women may feel like engaging in some sexual activity.

In the third trimester of pregnancy, there is a decrease in the sexual appetite of a woman. Fatigue may be one the reasons. As your baby grows rapidly in this period, you may feel that sexual activity may hurt your baby. There is also increase in the baby’s movement inside the uterus. You may feel that your baby is uncomfortable because of your sexual activity. Large womb size can be another reason for your decreased sexual desire.

There are several worries about sex during pregnancy, which arises in women’s mind like

* Intercourse during pregnancy could hurt the baby.
* Sex during pregnancy could lead to miscarriage.
* Intercourse can cause severe pain.
* Baby in the uterus would feel uncomfortable.

These kinds of worries are perfectly normal and there is no harm in giving a thought to this. Most of these worries are baseless.

Intercourse during pregnancy cannot hurt the baby, as there is a layer of amniotic fluid around it and thick mucus plug which closes the cervix. This layer works as cushion, which protects the baby. Sex during pregnancy cannot lead to miscarriage. However, if you have a history of miscarriage, your doctor may advise not to have sex during the first trimester of pregnancy.

Under normal circumstances when you are having a normal pregnancy, sex will not cause severe pain.

Your baby is perfectly protected by thick uterus muscles and a layer of amniotic fluid. There is no reason to feel uncomfortable.

When to avoid sex during pregnancy

Avoid having sex under any of the following circumstances and contact your doctor or health care provider immediately

* Vaginal bleeding
* Preterm labor
* When you or your partner suffering from sexually transmitted disease
* If you have history of premature birth or labor
* Placenta pervia
* Broken water

Usually, one can have sex throughout the pregnancy. However, it is always advisable to consult your doctor who will help you professionally to get rid of this kind of fear.

এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি


সংজ্ঞা : নিষিক্ত ডিম্বানু স্বাভাবিক অবস্থায় জরায়ুতে স্থাপিত হয়। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিম্বানু জরায়ুর বাইরে স্থাপিত হতে পারে । এই ধরনের গর্ভাবস্থাকে এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি বলে ।
এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি এর স্থান :
০০ জরায়ুর বাইরে :
০ ডিম্বনালী- সবচেয়ে বেশী এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি হয় ( ৯৭% ) । বিশেষ করে এ্যাম্পুলা নামক অংশে (৬৪%)।
০ ডিম্বকোষ-০.৫%
০ পেটের ভিতরে-১%
০০ জরায়ুর ভিতরে ( ইউটেরাইন ) ১.৫%


পরিসংখ্যান :
প্রতি ৩০০ জনে ১জন থেকে ১৫০ জনে ১ জন গর্ভবতী মহিলার এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি হয় ।
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি ।
কারণ ও ঝুঁকি :
০ পূর্ববর্তী পেলভিক প্রদাহ (PID)
০ ডিম্বনালীর লাইগেশন
০ জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতা (Contraception failure )
০ পূর্ববর্তী এ্যকটোপিক
০ ডিম্বনালীর অপারেশন
০ বন্ধ্যাত্ব ( history of infertility )
০ কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ( ART )
০ পূর্ববর্তী গর্ভপাত (previous induced abortion )
উপসর্গ :
০০ মাসিক বন্ধ ( amenorrhoea ) ৭৫%
তলপেটে ব্যথা-১০০%
রক্তপাত (Vaginal bleeding)-৭০%
এই তিন উপসর্গ ডিম্বনালীর এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি এর ক্লাসিক্যাল ট্রায়েড (Classical Triad)
০০ মাসিক বন্ধ- ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ । কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য রক্তপাত (Spotting) হতে পারে ।
০০ পেট ব্যথা- সব রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । ব্যথা অত্যন্ত তীব্র ও অসহনীয় । ব্যথা প্রথমে তলপেটে পরে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে ।
০০ রক্তপাত- রক্তপাত অল্প অল্প করে অনবরত হতে থাকে । রক্তের রং কালচে লাল হয়ে থাকে ।
০০ বমিবমি ভাব, হঠাৎ বেহুশ হয়ে যাওয়া (fainting) ১০%
ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা :
০ এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি রোগীকে দেখে পরীক্ষার সময় অনেকটুকু নির্ণয় করা যায় ।
রোগী শান্ত, সজাগ থাকে কিন্তু ঘর্মাক্ত (Perspiring) ও শূন্যদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে ।
০ রক্তশূন্যতা (Pallor) খুব বেশী থাকে যা ভিতরে রক্তপাতের (internal haemorrhage) উপর নির্ভর করে ।
০ অজ্ঞান এর উপসর্গ অর্থাৎ দ্রুত শিরা স্পন্দন, নিম্ন রক্তচাপ ও হাতপা ঠান্ডা হওয়া ।
০ পেট পরীক্ষা (Per abdominal) পেটে প্রচন্ড ব্যথা ও পেট শক্ত হয়ে যাওয়া । নিম্ন পেটে এই উপসর্গ দেখা যায় ।
পেলভিক পরীক্ষা :
০ ফরনিক্স (Fornix) এ তীব্র ব্যথা
০ জরায়ু পানিতে ভাসছে মনে হয় ।
ল্যাব পরীক্ষা :
০ বিটা-এইচ সি জি (βhcg)
০ রক্তের পরীক্ষা-সি বি সি (TC, DC, Hb%, ESR, Platelet)
০ রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা
০ অfল্ট্রাসনোগ্রাফী
-ট্রান্সভেজাইনাল সনোগ্রাফী (TVS)
-ট্রান্সএ্যবডোমিনাল (Transabdominal)
০ প্রস্রাব পরীক্ষা

চিকিৎসা
০০ এক্সপেকট্যান্ট ম্যানেজমেন্ট
০ কমব্যথা কম রক্তপাত
০ বিটা এইচ সি জি ১০০০ আই ইউ এর চেয়ে কম এবং ক্রমশ: কমছে
০ ডিম্বনালীর ফেটে যাওয়ার উপসর্গ নাই
০০ মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট :
০ মিথোট্রিক্সেট দিয়ে করা হয়
০ স্বাভাবিক ভাইটালসাইন (Vital Sign) স্বাভাবিক লিভার পরীক্ষা, স্বাভাবিক রক্তের পরীক্ষা হলে
০ এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি না ফেটে গেলে
০ বিটা এইচ সি জি ৫০০০ আই ইউ এর নিচে হলে
০ এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি এর সাইজ ৪ সে: মি: এর চেয়ে কম
০০ সার্জিক্যাল ম্যানেজমেন্ট এর পূর্বশর্ত :
০ এক্সপেকট্যান্ট ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল চিকিৎসা বিফল হলে
০ পেরিটোনিয়ামে রক্তপাত হলে
০ রোগ নির্ণয়ে সন্দেহ হলে
০ অনেকদিনের এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি
০ ভাইটালসাইন স্বাভাবিক না থাকলে
সার্জিক্যাল পদ্ধতি :
০ লেপারোসকপি (Laparoscopy): একে (key-hole) সার্জারি বলা হয় । প্রাথমিক ভাবে এই সার্জারি উত্তম ।
০ ল্যাপারোটমি (Laparotomy)
০ পেট কেটে অপারেশন করা হয়
ভবিষ্যৎ গর্ভধারণ ক্ষমতা :
এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সিতে ভবিষ্যৎ গর্ভধারন ক্ষমতা ৭৭%
পরবর্তী এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি হওয়ার ঝুঁকি :
০ ১ম এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি-এর পর-৫-২০%
০ ২য় এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি-এর পর-৩২%
চিকিৎসা পরবর্তী ফলো আপ (follow up)
০ ধূমপান নিষেধ
০ ফলিক এসিড খাওয়া
০ পরবর্তী গর্ভের সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া
যেহেতু এ্যকটোপিক প্রেগনেন্সি গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে উল্লেখযোগ্য মাতৃমৃত্যুর কারণ সেহেতু দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং এর চিকিৎসা করা জরূরী ।

Tuesday 11 January 2011

ধূমপায়ীদের অসুখ, বার্জার’স ডিজিজ

বানিয়ে বলা কোন গল্প নয় একদম সত্য কথা। রিক্সাচালক মতিন মিয়া কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ডান পায়ের তীব্র ব্যাথা নিয়ে। দু’দিন আগে অপারেশন করে ডান পায়ের উরুর মাঝখান থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। কাটা পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে থাকা মতিন মিয়াকে যখন জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন আছেন‌’?
মতিন মিয়া আকর্ণবিস্তৃত হাসি দিয়ে বললেন, ‘ভাল আছি’। পা হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে পা বাড়িয়েছেন যে মানুষটি, সে যখন চোখে মুখে তৃপ্তির ছাপ নিয়ে বলে, ‘ভাল আছি‌’ তখন সবিস্ময় প্রশ্ন জাগা খুবই স্বাভাবিক। উত্তরও আসে খুব সহজেই। মতিন মিয়া তার পঙ্গুত্বের বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছে এক দুঃসহ যন্ত্রণার হাত থেকে। যে প্রচন্ড পায়ের ব্যথা তাকে ঘুমাতে দেয়নি, এক রত্তি শান্তি দেয়নি সে ব্যাথার উপশম হলো শেষ পর্যন্ত প্রিয় পাটিকে ফেলে দিয়ে। মতিন মিয়ার অসুখটির নাম বার্জারস ডিজিজ


জানা গেল মতিন মিয়া একজন ধুমপায়ী। বলা যায় চেন স্মোকার । আর ধুমপানই তাঁর জন্য ডেকে এনেছে এই অভিশপ্ত রোগ। বার্জার্স ডিজিজে কি হয়? রক্তের ধমনীগাত্রের বিভিন্ন স্তরে ইনফ্লামেশান বা প্রদাহ হয়। এই প্রদাহে ফলে ধমনীর লুমেন বা রক্ত চলাচলের পথটি সরু হয়ে রুদ্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে সংশ্লিষ্ট অঙ্গে গ্যাংগ্রীন হতে শুরু করে। এক সময় শুরু হয় তীব্র ব্যথা । এই রোগে আক্রান্ত হয় মূলত পা। শুরুতে অল্প অল্প ব্যথা হয়। হাঁটাচলা করলে ব্যথা বাড়ে। আবার বিশ্রাম নিলে কিংবা পা ঝুলিয়ে বসলে আরাম হয়। পায়ের আঙ্গুলগুলো ঠান্ডা, অবস এবং নীল হয়ে যেতে থাকে । রোগের পরবর্তী ধাপে ধীরে ধীরে ব্যাথা বাড়তে থাকে। তখন আর বিশ্রামও মানে না। এক দুঃসহ যন্ত্রণাময় নির্ঘুম জীবনের সূত্রপাত হয়। প্রচন্ড এই ব্যথার তীব্রতা শুধু ভুক্তভোগীই জানেন। ধীরে ধীরে পায়ে গ্যাংগ্রীন হতে থাক। অতঃপর পচন শুরু হয়। চোখের সামনে পচতে থাকে পা।


কেন হয়, কাদের হয়? বার্জারস ডিজিজের মূল কারণটি নিশ্চিতভাবে ধরা না পড়লেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি শুধুমাত্র ধূমপানের ফলে যেসব রোগ হয় সেগুলোর নাম যে কোন মানুষ এক নিঃশ্বাসেই বলতে পারবেন। কিন্তু এই রোগগুলো কিন্তু ধূমপান না করলেও হতে পারে। যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার ধূমপায়ীদের বেশী হলেও অধূমপায়ীরাও এই রোগে আক্রান্ত হন। কিন্তু বার্জারস ডিজিজ একমাত্র রোগ যা অধূমপায়ীদের কখনই হয় না। এই রোগীরা সব সময়ই চেন স্মোকার। এবং এটি শুধুমাত্র পুরুষদেরই হয় । বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, মজুর শ্রেণীর নিম্ন আয় সম্পন্ন মানুষ যারা খালি পায়ে চলাফেরা করেন তাঁদেরই এই রোগটি বেশি হয়। রাশিয়ার ইহুদী সম্প্রদায়ের পুরুষদের মধ্যে এই রোগটি প্রবণতা বেশী থাকলেও এটা সারা বিশ্বেই দেখা যায়। বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে। একমাত্র চিকিৎসা পা কেটে ফেলা । বিকল্প কোন চিকিসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। প্রতি দিনই সারা বিশ্বে অসংখ্য সার্জন এমনি করে পা কাটছেন অসংখ্য বার্জাস অক্রান্ত রোগীর। ধূমপান ছেড়ে দেয়াই এর একমাত্র প্রতিকার। বলা হয়ে থাকে, ‘নো স্মোকিং-নো বার্জারস ডিজিজস’।

শেষ কথা: বার্জারস ডিজিজের নিশ্চত পরিণতি পঙ্গুত্ব । শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এক পা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ পাটিও আক্রান্ত হতে শুরু করে। এই রোগটির প্রবণতা ইদানিং আমাদের দেশে যথেষ্ট বেড়েছে। আপনি যদি অধূমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভয় নেই। আর যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন তাহলে মনে রাখবেন বাজারস ডিজিজ শুধুমাত্র ধূমপায়ীদের অসুখ। ধূমপান এখনই ছেড়ে দিন কারণ এটিই একমাত্র প্রতিকার। নতুবা এই সৌখিন নেশার কারণেই আপনার জীবনের স্বাভাবিক গতিময়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একটু ধোঁয়ার সুখের জন্য আপনি নিশ্চয়ই আর যাই হোক পঙ্গু হতে চান না? চান কি?

Sunday 2 January 2011

এ্যাজমা এবং স্থূলতা

যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্ট বা এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তথ্যটি দিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকগণ। তারা ৯০ হাজার মহিলার ওপর একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা চালিয়েছে, যাদের কেউই এ্যাজমায় আক্রান্ত নন। কিন্তু দেখা গেল এদের মধ্যে যাদের শরীর স্থুল এবং মেদবহুল তাদের শ্বাসকষ্টে ভোগার প্রবণতা বাকিদের তুলনায় বেড়ে গেছে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে কিছু হরমোনজনিত পরিবর্তন হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই হরমোনজনিত পরিবর্তনই মূলত শ্বাসকষ্টের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য দায়ী।

সুবজ চায়ের গুণ

সবুজ চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে বেশ কিছুদিন যাবত গবেষকগণ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় তারা এক নতুন তথ্য পেয়েছেন। তা হলো সবুজ চা 'রিউমাটয়েড আর্থাইটিস' প্রতিরোধ করে।

যারা নিয়মিত সবুজ চা পান করে থাকে তাদের এই দুর্বিষহ রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। আর রিউমাইটয়েড আর্থাইটিস হলো হাড়ের এক ধরনের রোগ, যা হলে অস্থিসন্ধিতে প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং ফুলে ওঠে। তাই বড়ই যন্ত্রণাময় এই রোগ থেকে বাঁচতে আপনিও সবুজ চায়ের কথা ভাবতে পারেন ।

টি-ব্যাগের অদ্ভুত ব্যবহার

চা খাওয়ার ব্যাপারে আজকাল টি-ব্যাগের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে? হ্যাঁ পারে।

ধরুন, আপনার হাত কোন কারণে কেটে গেল। শুরু হলো রক্তপাত। তখন আপনার ঘরের টি-ব্যাগটাকে কাজে লাগাতে পারেন । টি-ব্যাগটাকে সামান্য ভিজিয়ে কাটা স্থানে ধরুন । রক্তপাত দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। টি-ব্যাগের চায়ে যে ট্যানিক এ্যাসিড থাকে তা রক্তবাহী শিরাকে সন্কুচিত করে দেয় । ফলে রক্তপাতও দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় ।

অত্যাধুনিক কনট্যাক্ট লেন্স

চোখের ত্রুটি দূর করতে আমাদের প্রায় ক্ষেত্রেই চশমা পরতে হয় কিন্তু চশমায় অনেকেই অস্বস্তিবোধ করেন। স্মার্টনেসের পরিপন্থি বলেও ভাবেন কেউ কেউ। তাই চশমার বিকল্প হিসাবে এসেছে কনট্যাক্ট লেন্স। কিন্তু কনটাক্ট লেন্সেরও রয়েছে অনেক ঝামেলা। হাত মুখ ধুতে গিয়ে যদি বাথরুমের মেঝেতে খুলে পড়ে যায় তা হলে আর বিড়ম্বনার সীমা থাকে না। এই সব ঝামেলা দূর করতে বাজারে এসেছে এক অত্যাধুনিক আবিষ্কার যা এক ধরনের স্বচ্ছ রিং, সরাসরি চোখের কর্নিয়ায় সংযোজন করা যায়। এর নাম দেয়া হয়েছে ইনট্যাকস ।

আমেরিকার ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এডমিনেস্ট্রেশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখেছে ইনট্যাক্স চোখে স্থায়ীভাবে সংযোজন করা যায় আবার প্রয়োজনমত অপসারনও করা যায়। এটি লাগাতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট । পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি চশমা বা কনটাক্ট লেন্সের চেয়েও ভাল কাজ করে। খুব অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারী এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে পারেন। এই সমস্যা রয়েই গেছে এবং এর দামটা এখনও সাধারণের ক্ষমতার  বাইরে ।

এইডসের সাম্প্রতিক তথ্য

৯ বছরের এক দীর্ঘ গবেষণা শেষে গবেষকগণ নিশ্চিত হয়েছেন 'ভিটামিন-ই' এইডসের বিরুদ্ধে কাজ করে। বেশ কয়েকজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যাদের শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই রয়েছে তাদের শরীরে এই ভাইরাস খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারে না। ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে এইডসের আক্রামণকেও প্রতিহত করে ।

হাসি এক ধরনের ব্যায়াম

শিরোনাম দেখে অবাক হবার কিছু নেই। হ্যাঁ, হাসি আসলেই এক ধরনের ব্যায়াম। এক’শ বার হাসির সমান দশ মিনিট ব্যায়াম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা এ কথাই বলেছেন বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে সুস্থতাই মনের পূর্বশর্ত । তাই বেশি বেশি করে হাসুন।

কফি পিত্ত পাথরীয় ঝুঁকি কমায়

কয়েকদিন আগেও আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলতেন কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় তারা মত পাল্টেছেন। তারা এখন বলছেন, কফি গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ‘হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ’-এর গবেষকগণ এক পরীক্ষায় দেখেছেন যে, যারা দিনে অন্ততপক্ষে চার কাপ করে কফি খান তাদের পিত্তথলিতে পাথর হবার ঝুঁকিটা অনেকাংশেই কমে যায়। তবে কফি অবশ্যই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ হতে হবে। ক্যাফেইনমুক্ত কফি বা চা খেয়ে তেমন ফল পাওয়া যায় না। কফির পরিমানটাও যেন সহনশীল মাত্রার মধ্যে থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে ।

নাকে ড্রপ বেশী করে করবেন না

সর্দি হলেই যাদের নাক বন্ধ হয়ে যায় তারা সাধারণত নাকের ড্রপ ব্যবহার করেন। এই ড্রপগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কাজ করে। নাকের মধ্যে দু’তিন ফোঁটা ড্রপ দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বন্ধ নাক খুলে যায়। স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নেয়া যায় কিন্তু এই ড্রপগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা মোটেই সুখকর নয়। নাকের  ড্রপ একটানা তিন চারদিন ব্যবহার করলে নাসারন্দ্রের আবরণী কলাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সাইনোসাইটিসের জটিলতা বাড়ে। তাই নাকের ড্রপ যতই কম ব্যবহার করা যায় ততই মঙ্গল।

তবে দিনের অধিকাংশ সময়ই যাদের নাক বন্ধ থাকে এবং যারা এইসব ড্রপের ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল তাদের জন্য একটি ভাল পরামর্শ রয়েছে। আর তা হলো বিকল্প ন্যসাল ড্রপ। ব্যবহার্য ন্যসাল ড্রপের অর্ধেকটা ফেলে দিয়ে তাতে পানি ভরে নিতে হবে । পানিটা অবশ্যই কমপক্ষে ১০ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। ব্যস, হয়ে গেল বিকল্প ন্যসাল ড্রপ। এই ড্রপটি এক নাগাড়ে ছয় সাত দিন ব্যবহার করা যাবে ।