your doctor

Mail: yourdoctor.hello@gmail.com

YOUR DOCTOR

Friday 20 May 2011

এই গরমে ভাল থাকুক ত্বক

গরম পড়েছে । গরমের সময় রোদের তীব্রতা থাকে বেশী। বেরুনোর আগে তাই সানস্ক্রীন মেখে নেবেন মুখে। ছাতা, রোদ চশমা প্রভৃতি ব্যবহার করুন। গরমে ভারী প্রসাধন এড়িয়ে চলুন। মেকাপ , ফাউন্ডেশন পারতপক্ষে ব্যবহার না করাই ভাল। অগত্যা যদি করতেও হয় তাহলে চেষ্টা করবেন খুব কম সময় তা রাখতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
 
গরমের সময় মুখের তেল গ্রন্থিগুলোর ক্ষরণ হয় বেশী। তাই ব্রণের প্রকোপটাও থাকে বেশী। এই সময়ে তাই ঘন ঘন মুখ ধোবেন, দুই থেকে তিন বার। মুখ ধোওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন রকম 'একনে সোপ' পাওয়া যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যবহার্য সাবানটিতে যেন থাকে সালফার, সেলিসাইলিক এ্যসিড অথবা বেনজয়েল পার অক্সাইড।

গরম মানেই ঘাম, ঘামে ভেজা শরীর, ঘামাচি আর অস্বস্তিকর চুলকানি। কিছু কিছু চর্ম রোগ আছে যা গরম এলেই দেখা দেয়। ঘামাচি তার একটি। ঘামাচি থেকে বাঁচতে সূতি কাপড় পরুন। বাচ্চাদেরও তাই পরান। ঘাড়ে, গলায়, বগলে, কুঁচকিতে, পিঠে পাউডার দিবেন। ঘামাচি হলে শরীরে বরফ ঘষতে পারেন, উপকার পাবেন।

কিছু চর্ম রোগ আছে যা গরম এলে বেড়ে যায়। ছত্রাক জনিত রোগ যেমন দাউদ, ছুলি প্রভৃতি এর উদাহরণ। যারা দাউদে ভোগেন তারা দেখবেন গরম কাল এলেই তা বাড়তে থাকে এবং প্রচন্ড চুলকায়। কারণ গরম এলে শরীরে ঘাম হয় এবং শরীর ভেজা থাকে। আর ভেজা শরীরই হলো ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র। ফলে শরীরে ছত্রাক বা ফাংগাস জন্মায়।
তাই যাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়, তারা সব সময় ঘামে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলবেন। আবার যারা শরীরিকভাবে মোটা তাদের দেহে বেশি ভাজ থাকে। সেই ভাজের মধ্যে ঘাম আর ময়লা বেশি জমে থাকে বলে দেহের ভাজমুক্ত স্থানে ছত্রাক বা ফাংগাস বেশি হতে দেখা যায়। এক হিসেবে দেখা গেছে আমাদের দেশে প্রতি বছর অন্ততপক্ষে ৭০-৮০ হাজার লোক বিভিন্ন রকম ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আবার বিশ্বব্যাপী এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ লোক তাদের জীবদ্দশায় কখনো-না-কখনো এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

প্রচুর পানি পান করুন। এই সময়ে প্রচুর রসালো মৌসুমী ফল পাওয়া যায় বাজারে। সেগুলো বেশী বেশী করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ত্বক ভালো থাকবে।
সব ঋতুরই ভাল মন্দ আছে। মন্দ গুলো দূরে থাকুক। ভালটাই উপভোগ করুন। এই গরমে সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুক আপনার ত্বক।

Thursday 19 May 2011

শিশুর কিছু আচরণগত সমস্যা


­শিশুর বিকাশের সাথে সাথে কিছু আচরণগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অধৈর্য না হয়ে একটু বেশী সচেতন হতে হবে। নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।

বদমেজাজী বা বিপরীত স্বভাবের শিশু:
সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর বয়সের শিশুদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ ধরনের শিশুরা সকল কাজে এবং আচার আচরণে (না-বাচক) নেতিবাচক মনোভাব দেখায় এবং তাকে সংশোধন করানোর জন্য যতই চাপ প্রয়োগ করা হোক না কেন, ততোই তার নেতিবাচক মনোভাব বেড়ে যায়।


এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের করণীয়:
শিশুর এই সমস্যা সমাধানে অভিভাবকদের চরম ধৈর্য্য, সুব্যবহার এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। শিশুকে এর জন্য বকাবকি বা মারধর করা যাবে না। অভিভাবকদের এসময় খেয়াল রাখতে হবে তার ব্যবহার যেন শিশুর কাছে সব সময় (হাঁ- বাচক) থাকে।
*শিশুর ভুলগুলো তার সামনে এমনভাবে তুলে ধরতে হবে যেন সে বুঝতে পারে যে, পরিবারের সকলেই জানে তার নেতিবাচক মনোভাবের পেছনে যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে তবে এর সাথে তাকে এটাও ভালভাবে বোঝাতে হবে যে, তার এ ধরণের আচরণ করা শোভন নয়। ব্যবহার পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে শিশুকে তার অধিকতর পছন্দনীয় কাজটি বেছে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে।
শিশু মারাত্নক ধরণের কোন ভুল করে থাকলে (যেমন কারও সাথে খুবই দুর্ব্যবহার, চুরি, কাউকে মারা ইত্যাদি)  পরবর্তীতে এর জন্য ক্ষমা চাওয়া, জিনিস ফেরত দেয়া ইত্যাদি করা শিশুকে শেখাতে হবে।


অত্যাধিক চটপটে শিশু (হাইপার একটিভ চাইল্ড):
*এ ধরনের শিশুরা খুবই কর্মচঞ্চল থাকে তবে সে কোন কিছুতেই তেমন মনযোগ দিতে চায়না। আবার অনেক ক্ষেত্রেই সে উগ্রধরণের আচরণ করে থাকে। এদের মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে।
*এ ধরনের শিশুদের ঘুম কম হয়, সহজেই সে কাউকে বন্ধু বানায় না, পোষাক-পরিচ্ছদ এবং ব্যবহারে এরা খুব অগোছালো হয় ।
*এরা কথাবার্তা খুব দ্রুত বলে থাকে। এবং অধিকাংশ সময়েই এভাবে কথা বলতে গেলে বাধাগ্রস্থ হয়।
লেখাপড়ায় এ শিশুরা সাধারণত অমনযোগী হয়ে থাকে যদিওতাদের বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক থাকে।


­প্রতিকার:
*অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে এটা কোন কঠিন সমস্যা নয়। শিশুর প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে এবং ধৈর্য্য ধারন করে সমাধান করা সম্ভব।  এ ক্ষেত্রে বিশেজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
*এ ধরনের শিশুদের চোখের বা শ্রবণ শক্তির কোন সমস্যা  আছে কি না চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা পরীক্ষা করে দেখুন। বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে স্নায়ুতন্ত্রের কোন সমস্যা আছে কিনা তাও দেখুন। স্কুল বা প্রাইভেট শিক্ষকদের কাছে শিশুর এ সমস্যাটি  অবহিত করুন এবং তাঁদের সাথে পরামর্শ করে শিশুর পড়ার রুটিন ঠিক করে নিন।


­দাঁতে দাঁত ঘষা, আঙ্গুল চোষা, নখ কামড়ানো:*সাধারণত অভিভাবকরা যে সব শিশুর প্রতি অবহেলা করে থাকেন, সে সব শিশুদেরই এসব সমস্যা বেশী দেখা যায়। এরকম কোন কারণ থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করুন।
*শিশুকে যথাসম্ভব উৎফুল্ল পরিবেশে রাখুন। শিশুকে বুঝাতে হবে যে এই সব অভ্যাস ভাল নয় এবং তার জন্য ক্ষতিকারক।
*যে সব শিশুর আঙ্গুল চোষার বদ অভ্যাস রয়েছে তাদের নখ সব সময় ছোট করে কেটে রাখুন, হাত পরিস্কার রাখুন এবং অপুষ্টি ও কৃমি থাকলে  চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তার যথাযথ চিকিৎসা করুন। *আঙ্গুল না-চোষার জন্য কোন তেতো জলীয় পদার্থ আঙ্গুলে লাগিয়ে রাখা যেতে পারে।
*অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় শিশু তার অভ্যাস সাময়িকভাবে ত্যাগ করলেও তার জন্য শিশুকে খুবই প্রশংসা করুন এবং সম্ভব হলে এর জন্যে  শিশুকে পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

Wednesday 6 April 2011

আঙ্গুরের বিচি আঙ্গুরের মতোই পুষ্টিকর!

প্রিয় ফলের মধ্যে বীচি আর কাবাবের মধ্যে হাড্ডি কখনও কখনও সমার্থক বলেই মনে হয় । আর এ কারণেই উদ্যানতত্ত্বের গবেষকগণ অনেক আগে থেকেই বীচি সরাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। যার ফলশ্রুতি বীচিবিহীন আঙ্গুর।
আঙ্গুরের বিচি কিন্তু আঙ্গুরের মতোই পুষ্টিকর। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, আঙ্গুরের বীচি প্রকৃতির সবচেয়ে সমৃদ্ধ এ্যান্টি অক্সিডেন্টের মধ্যে একটি। শিরা-উপশিরাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে এটি কাজে লাগতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।

ব্যথার চিকিৎসা, রাত্রীকালীন খিঁচুনি, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পানি জমা, এমনকি চোখের বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসাতেও আঙ্গুরের বীচি কাজে আসতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আঙ্গুরের মধ্যে বীচি জুড়ে দেয়াটাই এখন বিজ্ঞানীদের কর্তব্য।

Wednesday 9 February 2011

নিপা ভাইরাস, আতংক নয় চাই সচেতনতা

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে যে ভাইরাসটি জনমনে ব্যাপক আতংক সৃষ্টি করেছে তার নাম নিপা ভাইরাস। নামটি খুব সাদামাটা হলেও এই ভাইরাসটি কিন্তু খুবই মারাত্মক। এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে এনকেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) নামক রোগ সৃষ্টি করে। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশী। অঞ্চলভেদে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ প্রায়। ২০০১ থেকে এ বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুসারে বাংলাদেশে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৫৩ জনের মধ্যে ১১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে । আর এই ফেব্রুয়ারিতে গত কয়েকদিনে মারা গেছে প্রায় ২৭ জন ।

নিপা ভাইরাস আসলে কি? নিপা ভাইরাস প্যারামিক্সো পরিবারের সদস্য। রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে এটি এক ধরনের 'আর এন এ' ভাইরাস। প্রাণী দেহে বাস করে বলে একে জুনোটিক ভাইরাসও বলে। নিপা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় মালয়েশিয়ার পেনিনসুলায় ১৯৯৮ সালে শুকরের শরীর থেকে। ধারণা করা হয় এর উদ্ভব ঘটেছে আরো আগে সম্ভবত ১৯৯৪ সালে। তবে পরবর্তীতে সিংগাপুর ও ভারতেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে।  সাম্প্রতিককালে লালমনিরহাটে শনাক্ত হওয়ার আগে ফরিদপুর, রাজবাড়ি ও টাঙ্গাইল এলাকায় নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল ।


কিভাবে ছড়ায়?  নিপা ভাইরাস ছড়ায় মূলত বাদুড়ের মাধ্যমে। মানুষ, কুকুর,বিড়াল প্রভৃতি এর মধ্যবর্তী পর্যায়। বাংলাদেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই সময়টাতেই খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। বাদুড় গাছে বাঁধা হাড়ি থেকে রস খাওয়ার চেষ্টা করে বলে ওই রসের সঙ্গে তাদের লালা মিশে যায়। সেই বাদুড় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে এবং সেই রস খেলে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এ ভাইরাস। এছাড়া বাদুড়ের আধ-খাওয়া ফল এবং আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও  ছড়াতে পারে এ রোগ।

রোগ লক্ষণ: নিপা ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ৮ থেকে ১২ দিন পর রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক ভাবে লক্ষণগুলো জ্বর, মাথাব্যাথা, মাথাঘোরা, দুর্বলতা, বমিরভাব, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাস কষ্ট ইত্যাদি। তবে রোগের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে জীবানু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। তখন তীব্র জ্বরের সাথে রোগী অচেতন হয়ে পড়ে, খিচুনি হয়, প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হয় অতঃপর কোমায় চলে যায়। এভাবে এক পর্যায়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটে।

পরীক্ষা নিরীক্ষা: এলাইজা টেস্ট, পিসিআর, সেল কালচার প্রভৃতি পরীক্ষার মাধ্যমে এই ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব। বাংলাদেশের সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআইডিসিআর দ্রুত এই রোগ শনাক্ত করে বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছে। বেশ কিছু বেসরকারী ল্যাবরেটরীতেও এই পরীক্ষাগুলো করা হয়।

চিকিৎসা: নিপা ভাইরাস জনিত এনকেফালাইটিসের খুব কার্যকর কোন চিকিৎসা আসলে নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে রিভাবিরিন জাতীয় এন্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রোগের তীব্রতা কিছুটা কমে। কাশি, জ্বর বা অন্যান্য লক্ষণের জন্য লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এন্টিবায়োটিকের সরাসরি  কোন ভূমিকা না  থাকলেও সেকেন্ডারী ইনফেকশন প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। তীব্র শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে বা রোগী অচেতন হয়ে গেলে প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর মেশিন (কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র)-এর মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যাবস্থা করতে হতে পারে।


প্রতিরোধে চাই সতর্কতা:
খেজুরের রস, আধখাওয়া ফল পরিহার করতে হবে। ফল ও শাকসবজি ভাল করে ধুয়ে খেতে হবে।এই রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। এ রোগে আক্রান্তদের পরিচর্যা করতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে পরিষ্কার না করে আবার ব্যবহার করা যাবে না। রোগীর পরিচর্যা করার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। রোগীর কফ ও থুতু যেখানে সেখানে না ফেলে একটি পাত্রে রেখে পরে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগীর সঙ্গে একই পাত্র খাওয়া বা একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না। রোগীর শুশ্রূষা করার সময় মুখে কাপড়ের মাস্ক পরে নিতে হবে।

আতংক নয়, সচেতনতা: আর সব ছোঁয়াচে রোগের মতই নিপা এনকেফালাইটিস ও সচেতনতার মাধ্যমে অনেকখানিই প্রতিরোধ করা সম্ভব। অযথা আতংকিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বরং প্রয়োজন সচেতনতা। ইতোমধ্যেই সরকারী পর্যায়ে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকে  রংপুর, ফরিদপুর, বগুড়াসহ ছয়টি হাসপাতালে নিপা ভাইরাসে আক্রানতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আলাদা ইউনিট এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Saturday 5 February 2011

আলসার প্রতিরোধে তেল

অলিভ ওয়েল, সূর্যমূখীর তেল, মাছের তেল পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ করে। সম্প্রতি এই তথ্যটি পাওয়া গেছে আমেরিকান কলেজ অব গ্যাস্ট্রো এ্যান্টারলজি’র গবেষকদের কাছ থেকে। তাঁদের ভাষ্যমতে এসব তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা 'হেলিও ব্যাকটার পাইলোরি' নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে নারিকেল তেল, পামঅয়েল বা এ জাতীয় অন্য কোন তেলের এ জাতীয় গুণ আছে বলে জানা যায়নি।