your doctor

Mail: yourdoctor.hello@gmail.com

YOUR DOCTOR

Saturday 20 November 2010

শাকসবজি, দীর্ঘ জীবনের রহস্য!

শতবর্ষী মানুষদের নিয়ে আমাদের কৌতুহলের অন্ত নেই। কি করলে এমক কচ্ছপের মতো বেঁচে থাকা যায় তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ও নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। রোগমুক্ত র্দীঘ জীবন কে না চায়? কিন্তু কি সেই গোপন রহস্য।
এই ব্যাপারটিই খতিয়ে দেখার জন্য ইতালিতে কয়েকজন শতবর্ষীর মানুষগুলো সাধারণের চেয়ে দ্বিগুন শাকসবজি (!) খেতেন । যদিও দীর্ঘজীবনের মূলে রয়েছে জীন এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের ভূমিকা, তারপরেও শাকসবজি খাওয়ার ব্যাপারও নতুন করে ভাবাচ্ছে। তাহলে দেখুন শাকসবজির কত ক্ষমতা!

কফের চিকিৎসায় পুদিনা পাতা

কফ-কাশিতে আমরা সাধারণত এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ হলো গলা থেকে কফ বের করে দেয়া। কিন্তু এর একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এসব ওষুধ খেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। তাই এর বিকল্প হিসাবে আপনি পুদিনা পাতার সাহায্য নিতে পারেন। পুদিনা পাতা এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে। বোনাস হিসাবে আপনি পেতে পারেন আরও একটি বড় ধরনের উপকার। আর তা হলো পুদিনা পাতা আপনার উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে সাহায্য করে।

থার্মোমিটারে সঠিক তাপমাত্রা জানার উপায়

জ্বর হলেই আমরা শরীরের তাপমাত্রা জানতে থার্মোমিটারের ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কিছু ভুল ত্রুটির জন্য অনেক সময়ই আমরা ভুল তাপমাত্রাটি পেয়ে থাকি। আসুন জেনে নিই, থার্মোমিটার থেকে কিভাবে সঠিক তাপমাত্রাটি পাওযা যাবে। নির্ভুল রিডিং পেতে প্রচলিত পারদ থার্মোমিটারই যথেষ্ট। আধুনিক ডিজিটাল থার্মোমিটার না হলেও অসুবিধা নেই এতদিন জিহ্বার নিচে পাঁচ মিনিট থার্মোমিটার রাখা হতো। ইদানিং গবেষণায় দেখা গেছে সঠিক রিডিংয়ের জন্য আট মিনিটই আদর্শ।
  • থার্মোমিটার মুখে দেয়ার কমপক্ষে দশ মিনিট আগে থেকে কোন রকম ঠান্ডা বা গরম পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ঠান্ডা বা গরম পানীয় মুখের তাপমাত্রার তারতম্য করে। ফলে আপনি শরীরের সঠিক তাপমাত্রাটি জানতে ব্যর্থ হবেন ।

ক্ষত সারাতে মধু

অনেক কাল আগে থেকেই আমাদের দেশের বৈদ্যি-কোবরেজরা বিভিন্ন অসুখে মধুর ব্যবহার করে আসছেন। শক্তিবর্ধক হিসাবেও মধু অনেকেরই পছন্দ। আজকাল ছোটখাটো কাটাছেঁড়া সারাতেও মধুর ব্যবহারের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
ধরুন, আপনার শরীরের কোন অংশ কেটে গেল হাতের কাছে এ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট নেই। এবার বিকল্প হিসাবে আপনার ঘরের মধুটি আপনার কাজে আসতে পারে। মধু ব্যাকটেরিয়ার আক্রামণকেও ঠেকায়। এভাবে মধু আপনার ক্ষতে ইনফেকশন হতে দেবে না এবং ক্ষতটি ও দ্রুত সারিয়ে তুলবে। মধুর এমন মধুরতম ব্যবহার আর কি হতে পারে?
কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবেন? এটা এবার জেনে নিন। প্রথমে ক্ষত স্থনটি ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর আলতো করে সেখানে পাস্তুরিত মধু লাগিয়ে নিন। এবার ব্যান্ডেজ দিয়ে জায়গাটা বেঁধে নিন। ব্যস, এভাবে দিনে তিনবার। ক্ষত সেরে যাবে।

স্ট্র ব্যবহার করুন

ক্লোল্ড ড্রিন্কস খাবেন, ফ্রুট জুস খাবেন, ভাল কথা। কিন্তু অবশ্যই স্ট্র দিয়ে খাবেন। এতে করে আপনার নিজেকে বাচ্চা ছেলেটির মতো মনে হতে পারে। কিন্তু আপনার দাঁত ভাল থাকবে। কারণ স্ট্র দিয়ে খেলে ঠান্ডা পানীয়টা আপনার মুখ গহ্বর হয়ে সোজা পেটে চলে যাবে।
তখন দাঁতের সরাসরি সংস্পর্শ আসবে না এবং আপনার দাঁতও বেঁচে যাবে, ঠান্ডা আর মিষ্টি যুক্ত পানীয়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। অথচ গ্লাসে করে অথবা বোতলে মুখ লাগিয়ে খেলে আপনার দাঁতকে সরাসরি আক্রান্ত করতে পারত। তাই এবার কোল্ড ড্রিন্কস বা ফ্রুট জুস কিভাবে খাবেন তার সিদ্ধান্ত আপনার হাতেই রইল ।

জ্বরের মধ্যে না-খেয়ে থাকা ঠিক নয়

জ্বর হলে অনেকেই না খেয়ে থাকেন। ভাবেন, না খেয়ে থাকাটা হয়তো-বা জ্বর কমে যেতে সাহায্য করবে । ধারণাটি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং জ্বরের সময় না খেয়ে শরীরের ‘মৌলিক বিপাকের হার’ বেড়ে যায়। অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা প্রতি ডিগ্রী বৃদ্ধির সাথে শরীরের ক্যালরি পুড়ে তাপ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটি শতকরা ৭ ভাগ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন দেখা দেয়।
এর পর যদি না খেয়ে থাকা হয় তাহলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অসুখের বিরুদ্ধে লড়বার জন্য শরীর প্রয়োজনীয় শক্তিটি পায় না। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে জ্বরের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে না খেয়ে থাকাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না ।

পোকার কামড়ে ঘরোয়া চিকিৎসা

ধরে নিন আপনাক হঠাৎ পোকায় কামড়াল। হাতের কাছে এ্যান্টিসেপটিক ক্রিম নেই। তো কি করবেন? আপনার ঘরে যদি ভিনেগার থাকে তাহলে এবার কাজে লাগাতে পারেন। পোকা আপনার শরীরের যে অংশে কামড়েছে বা আঁচড় দিয়েছে ঠিক সেখানে এক ফোঁটা ভিনেগার নিয়ে মালিশ করুন। দ্রুত সেরে যাবে । আঁচড়ের যন্ত্রণাও থাকবে না। ভিনেগার আক্রান্ত স্থানের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত স্থানে যে দাগ হয় তাও দ্রুত সেরে যায় ।

যদি ভিনেগার না থাকে তবে আরও একটা কাজ করতে পারেন। পিঁয়াজ থেতো করে লাগিয়ে দিতে পারেন । পিঁয়াজে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যা ব্যথানাশক হিসাবে ভাল কাজ করে। তবে ব্যথা দীর্ঘমেয়াদী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন। কারণ পোকার কামড় থেকেও অনেক সময় মারাত্মক ধরনের ইনফেকশন হতে পারে ।

ব্যথানাশক হিসাবে তিল

তিল খুব ভাল ব্যথানাশক। এতে সাত ধরনের ব্যথ্যায় উপশম পেতে আপনি তিলকে বেছে নিতে পারেন । কিভাবে ব্যবহার করবেন? এক ভাগ তিলের সাথে তিন ভাগ পানি নিয়ে সিদ্ধ করতে থাকুন। মিশ্রণটি শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন । এবার ঠান্ডা করুন এবং সরাসরি দাঁতে মাখুন। ব্যাথা সেরে যাবে ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে দুধের ক্যালসিয়াম

দুধের মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে তা তো সবাই জানি। এই ক্যালসিয়াম আমাদের হাঁড়গোড় সুস্থ সবল রাখে এটাও আমরা জানি । এবার ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ একটা নতুন খবর দিয়েছে। দুধ এবং দুধের খাবার যাঁদের পছন্দ তাদের জন্য খবরটা সুখবরই বটে। খবরটা হলো দুধ থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম আমাদের অন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়।
গবেষকরা বলেন, যারা সপ্তাহে অন্তত এক গ্রাম ক্যাসিয়াম (যা দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার থেকে পাওয়া যায়) খেয়ে থাকেন তাদের অন্ত্র ভাল থাকবে। দুধের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম আছে তা পিত্ত রসের নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাদ্যের অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর অংশ সহজেই মলের সাথে বেরিয়ে যায়। নতুবা সেগুলো অন্ত্রের কোষগুলোতে জমা হয়ে কোষকে দূষিত করে তুলত। ফলে হতো অন্ত্রের ক্যান্সার। তাই যারা দুধ, দধি, মিষ্ট পুডিং খেতে ভালবাসেন তারা পূর্ণ উদ্যমে খেয়ে যান। তবে সাবধান মুটিয়ে যাবার ভয় আছে। মোটার ধাঁচ থাকলে পরিমিত খাওয়াই ভাল।

Thursday 18 November 2010

Asthma

‘Asthma’ Category


Symptoms Of Chronic Asthma

Many people who experience the effects of asthma also are diagnosed with chronic asthma. The symptoms of chronic asthma are generally the same as the symptoms of acute asthma except that they flare up much more frequently. The word asthma is actually a Greek term that translates to “panting” and this is a good description.


Understanding Asthma Attacks

It seems like asthma is becoming ever more prevalent these days. You’ve almost certainly heard of it. But if you’ve never experienced an asthma attack, you probably don’t know what goes on during one. If you suspect you have asthma, or just want to know more about it, here’s some important information.

Natural Cures For Asthma

Asthma is a respiratory condition that is accompanied by wheezing, inflammation of the lungs and difficulty breathing. Asthma is a chronic disorder that often responds to an allergy, cold air, exercise or illness.  Sufferers experience a feeling of breathlessness which is accompanied by wheezing, coughing and tightness of the chest.

Sunday 14 November 2010

শীতের সবজি পালং শাক

শীত এসেছে। বাজারে তাই নানা রকমের তরতাজা শাকসবজির সমাহার। এদের মধ্যে পালং শাক অন্যতম। আর সহজলভ্য এই শাকটির রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। সব ভিটামিনই (ভিটামিন 'ডি' ছাড়া) এতে রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'সি'-এর উৎস পালং শাক। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রনসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় মিনারেলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আর এ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজই তো হলো কোষের ক্ষয়রোধ করে শরীরকে তারুণ্যদীপ্ত এবং সুস্থ-সবল রাখা। অর্থাৎ বার্ধক্যকে জয় করতে পালং শাকের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।

পালং শাকের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকেও সতেজ এবং কর্মক্ষম রাখে । তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। তাছাড়া পালং শাকের রয়েছে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। সব মিলিয়ে পালং শাক শীতের এক অনন্য সব্জি!

ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে মসলা

আপনি কি মসলাযুক্ত খাবার পছন্দ করেন না? শরীরের জন্য ক্ষতিকর ভেবে কি মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন? খাবারকে সুস্বাদু আর সুগন্ধযুক্ত করতে যে সকল মসলা ব্যবহৃত হয় আপনার কি ধারণা সেগুলোর কোন গুণই নেই? তাহলে আপনার ধারণা ঠিক নয়।
রান্নাঘরের বিভিন্ন ধরণের মসলারও অনেক খাদ্যগুণ আছে। অবশ্য রসুন, হলুদের টুকটাক গুণের কথা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। নতুন কথা হলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়তেও এদের জুড়ি নেই। পশ্চিমা দুনিয়া মানুষেরাও তাই আজকাল মসলাপাতির দিকে ঝুঁকছেন।

কানসাস ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা মাংসের চাপের সাথে পর্যাপ্ত রসুন যোগ করে পরীক্ষা করে দেখেন যে, এসব চপ খেলে শতকরা ৯০ ভাগই, কোলাই ব্যাকটেরিয়া (অন্ত্রের ব্যাটেরিয়া) মরে যায়। অন্য এক গবেষণায় ২৩ ধরনের মসলার ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে তৎপরতায় লবঙ্গই এগিয়ে আছে। এরপরেই রয়েছে দারুচিনি, সেইজ ইত্যাদি। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত মসলা খাবেন না। অতিরিক্ত মসলা দেয়া খাবার গ্যাস্ট্রিক আরোসারের রোগীদের অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

চোখের ছানি প্রতিরোধের উপায়

পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন...। কবিতায়-সাহিত্যে চোখ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা উপজীব্য। আমাদের বাস্তব জীবনে তো অবশ্যই। চোখ মানুষের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। কিন্তু এই চোখেও বাসা বাঁধে অনেক রোগ। চোখের ছানি এর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে বিশেষত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে  এই রোগটি খুবই সাধারণ।

চোখের ছানি কি? আমাদের চোখে একটা করে স্বচ্ছ লেন্স আছে। এই স্বচ্ছ লেন্সটি অস্বচ্ছ হয়ে গেলেই আমাদের সুন্দর কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে, যাকে আমরা চোখে ছানি পড়া বলি।

কেন হয় ?
বিভিন্ন কারণে চোখে ছানি পড়তে পারে। যেমন:
  • অধিক বয়স জনিত কারণে
  • আঘাতজনিত কারণে
  • কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে
  • বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে
  • অপুষ্টিজনিত কারণে। ইত্যাদি।
চিকিৎসা:
অস্ত্রপচারের মাধ্যমে খুব সহজেই চোখের ছানি দূর করা সম্ভব। যদি চোখ ছানিমুক্ত রাখতে চান: রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে/ প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে...না এত সহজেই সুন্দর কালো চোখ ঘোলাটে হতে দেয়া যাবে না। কিছু নিয়ম মেনে চললে আমরা সহজেই আমাদের চোখকে ছানিমুক্ত রাখতে পারি। খাবারের সাথে ভিটামিন সি খেলে সহজে চোখে ছানি পড়ে না। যারা পর্যাপ্ত শাকসবজি আর ফলমূল খান তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেক কম। আর আপনি যদি ধূমপায়ী হন তাহলে আজই এ অভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপায়ীদের চোখে ছানিপড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
হ্যাট বা সাহেবী টুপি আর সানগ্লাস ফ্যাশানদুরস্ত মানুষের প্রিয়বন্ধু হলেও এগুলো কিন্তু চোখের ছানির ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এর প্রমাণ মেলে ।

পরিমিত ঘুমান

ঘুমাতে গেলেও হিসাব করে ঘুমাতে হবে । আমেরিকার এক দল বিশেষজ্ঞ ৭০০০ পরিণত মানুষের ওপর ১০ বছর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যারা নিয়মিত ৮ ঘন্টা বেশি ঘুমান তাদের স্ট্রোক করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই বেশি ঘুম নয়।
আবার কম ঘুমালেও বিপদ। অবসন্নতা, মাথাব্যথ্যা, কাজে অনীহা ইত্যাদি হতে পারে। তাই ঘুমাতে হবে পরিমিত। দিনে বেশি ঘুমাবেন না, কারণ দিনের এক ঘন্টা ঘুম রাতের তিন ঘন্টা ঘুমের সমান। ছুটির দিনে সকালে একটু বেশি ঘুম অনেকেই আশা করেন। এটি মোটেও সঙ্গত নয়। কারণ পরের দিন সময়মতো সকাল সকাল উঠতে আপনার দেহঘড়িই আপনাকে বাধা দেবে ।

এইডসের সাম্প্রতিক তথ্য

এইডস সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক পরিবেশিত তথ্য হলো, মানসিক দুশ্চিন্তা এইডসের আক্রমণ ত্বরান্বিত করে। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা কলেজ অব মেডিসিন আবিষ্কার করে যে, মানসিক দুশ্চিন্তা এইচআইভি ভাইরাসের অপতৎপরতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ।

ক্যান্সারের বিপদ সঙ্কেত

আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষনগুলো সুম্পষ্ট হলে সাবধান হযে যান। পরীক্ষা করিয়ে নিন। আপনার ক্যান্সার হলেও হতে পারে। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি যেসব লক্ষণগুলোকে ক্যান্সারের আগমনী সঙ্কেত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে:
  • খুসখুসে কাশি কিংবা ভাঙ্গা কন্ঠস্বর।
  • সহজে সারছে না এমন কোন ক্ষত।
  • অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ।
  • স্তনে বা শরীরের অন্য কোথাও পিন্ডের সৃষ্টি ।
  • গিলতে অসুবিধা বা হজমের গন্ডগোল ।
  • মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন ।
  • তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তন ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সেলেনিয়াম

ক্যান্সার প্রতিরোধে সেলেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। সেলেনিয়াম মানব দেহে অন্ত্র এবং ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দীর্ঘ সাত বছরের এক গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, যাদের শরীরে পর্যাপ্ত সেলেনিয়াম রয়েছে তারা প্রোস্টেট ক্যান্সারেও কম ভোগেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে শরীরের জন্য সেলেনিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু সেলেনিয়াম কোথায় পাবেন? সেলেনিয়ামসমৃদ্ধ মাটিতে যেসব উদ্ভিদ জন্মে সেগুলো থেকে পর্যাপ্ত সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। ভুট্টা, জোয়ার এবং এ জাতীয় অন্য খাদ্যশস্য সেলেনিয়ামের একটি ভাল উৎস । এছাড়াও ফূলকপি, শিম, সবুজ শাকসবজিতেও প্রচুর সেলেনিয়াম পাওয়া যায় ।

একজন পরিশ্রমী মানুষের সুষম খাবার

সারা দিন হাড়ভাঙ্গা খাঁটুনি। কিন্তু শরীরটা তো ঠিক রাখতে হবে । তাই একটু ভাল খেতেও হবে কিন্তু কি খাবেন? কতটুকু খাবেন? জেনে নিন পরিশ্রমী মানুষের জন্য দৈনন্দিন সুষম খাদ্যের তালিকা।

খাদ্যের উপাদান
পরিমান
   ক্যালরি
আমিষ(মাছ/মাংস/ডিম/ডাল)
৫৫ গ্রাম
২২০ কিলোক্যালরি
ফ্যাট(ভেজিটেবল অয়েল/ঘি/মাখন)
৭০ গ্রাম
৬৩০ কিলোক্যালরি
শর্করা(ভাত/আটা/আলু)
৬৫০ গ্রাম
২৬০০ কিলোক্যালরি
সবুজ শাকসবজি
১২৫ গ্রাম
৩০ কিলোক্যালরি
অন্যান্য সবজি
১৫০ গ্রাম
৯০ কিলোক্যালরি
ফলমূল
৬০ গ্রাম
৩০ কিলোক্যালরি
                                    মোট ৩৬০০ কিলোক্যালরি

রোগ প্রতিরোধে ক্যাকটাস

কার্নিশে বা ঝুল বারান্দায় সুদৃশ্য টবে সাজানো ক্যাকটাসগুলো আপনার বাড়িতে সৌন্দর্য বিকাশে যেমন ভূমিকা রাখছে তেমনি আপনার দৈহিক সৌন্দর্য বিকাশে, মানে আপনাকে সুস্থসবল রাখতেও কিন্তু ক্যাকটাস আপনার কাজে আসতে পারে।
তাছাড়া, ক্যাকটাসে দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি ক্যাকটাসের এই গুণটি আবিষ্কার করেন। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের হেলথ সায়েন্স এর গবেষক দল কতগুলো ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান। তাঁরা ইঁদুরগুলোকে ১% অ্যালবেরাজেল (ঘৃতকুমারী নামের এক ধরনের ক্যাকটাসের জেল )-এর একটি বিশেষ খাবার নিয়মিত খাইয়ে দেখেন যে, এদের কিডনির অসুখ, থ্রম্বসিস এবং ক্যান্সার জাতীয় রোগ কম হয়।

ভাল কথা, তাই বলে টবে সাজানো ক্যাকটাস চিবিযে খেতে শুরু করবেন না যেন। মানবদেহে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা এর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাটিকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে ওষুধ হিসাবে বাজারে চালান করার চেষ্টায় আছেন ।

মোজার দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ

কী শীত, কী গ্রীস্ম-জুতা-মোজা পরে তো বেরুতেই হয়। আর কেতাদুরস্ত মানুষ হলে তো কথাই নেই। কিন্তু জুতা খুলতেই যদি বেরোয় নাড়ি উল্টানো দুর্গন্ধ, তাহলে? এই বিব্রতকর সমস্যাটি আমাদের সকলেরই কম  বেশি হয়। চিন্তার কিছু নেই, ইচ্ছা করলেই এর প্রতিকার সম্ভব। কি ভাবে ?
তার আগে জেনে নিন কেন এটা হয়? কেন মোজায় গন্ধ হয়? পায়ের ঘাম আর এর সাথে মিশে যায় ময়লা ফাঙ্গাস ঈস্ট আর ব্যাকটেরিয়া। ব্যস, এই মিলেই দুর্গন্ধ।

করণীয়:
অবশ্যই পরিষ্কার এবং শুকনো জুতা-মোজা ব্যবহার করবেন। দিনে অন্তত দু’বার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান দিয়ে পা ধোবেন। তারপর ভাল করে পা মুছে ছত্রাক নিরোধী পাউডারের সাথে একনে জেল এবং ১০% বেনজইল পারঅক্সাইড মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন । আরও দ্রুত এবং কার্যকর ফল পেতে এক লিটার কুসুম গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ চা পাতা ভিজিয়ে তাতে দশ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার ভাল করে পা মুছে জুতা-মোজা পরুন। আর বিচ্ছিরি গন্ধ নয়। এবার দুর্গন্ধমুক্ত পা দুর্গন্ধমুক্ত জুতা।